For all students who have completed their HSC/A-levels
সকল HSC/A-level কমপ্লিট করা স্টুডেন্টদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা:
১) যদি ফ্যামিলি এখন বিদেশে পড়াশুনা করতে পাঠাইতে ফাইনান্সিয়ালি সাপোর্ট করতে পারে এবং নিজের বিদেশে পড়াশুনা করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এখনি IELTS এর জন্য উঠেপড়ে লাগা উচিত। যদি ফ্যামিলির এফোর্ডিবিলিটি না থাকে তাহলে যে সকল দেশে ফুল স্কলারশিপ অফার করে সেইসব দেশে ট্রাই করা উচিত। আমাদের বড় স্বপ্ন দেখতে হবে তবে সেটা যেন ধরা-ছোয়ার নাগালে থাকে সেটা মাথায় রাখতে হবে।
২) যদি আন্ডারগ্রাজুয়েটের পরে মাস্টার্স করতে আসার প্লান থাকে তাহলে এখনি একটা ভাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির প্রিপারেশন নেয়া উচিত। প্রিপারেশন বাসায়, কোচিং বা গ্রুপ স্ট্যাডির মাধ্যমে হতে পারে। পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করে মাস্টার্সের টিউশন ফিসে যেন নিজের একটা কন্ট্রিবিউশন থাকে সেটার সর্বোচ্চ চেস্টা করা উচিত। তাছাড়া এতে মাল্টিটাস্কিং, মানি ম্যানেজমেন্ট, সোস্যাল স্কিলসহ আরো বেশকিছু স্কিল ডেভেলপ করবে যা পরবর্তীতে অনেক ক্ষেত্রে হেল্প করবে।
৩) যদি দেশের পড়াশুনা শেষ করে সরাসরি ইমিগ্রেশন নিয়ে আসার ইচ্ছা থাকে, তাহলে সেটা খুবই অপটিমিস্টিক এবং লং-টার্ম প্ল্যান হয়ে যাবে। এটার এক্সিকিউসন আদৌ সফলতার মুখ দেখবে কিনা সেটা এই স্টেজে বলা মুসকিল। তবে এতটুকু বলা যায় যে দিন দিন সব ফার্স্ট-ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিগুলোর ইমিগ্রেশন পলিসি কঠিন থেকে কঠিনতর হবে।
৪) Always have a Plan-B and Plan-C ready. জীবনে সবকিছু নিজের প্ল্যানমত হবে সেটা এক্সপেক্ট করা নিতান্তই বোকামি এবং ছেলেমানুষী। তাই সবসময় একাধিক ব্যাক-আপ প্ল্যান রাখতে হবে। প্ল্যান-এ ফেইল করলে সাথে সাথেই যেন প্ল্যান-বি তে ঝাপিয়ে পড়া যায় সেভাবে মেন্টালি প্রিপেয়ারড থাকতে হবে।
৫) বাবা-মা’র আর্থিক অপারগতার জন্য তাদের ব্লেইম না করে নিজের চেস্টায় সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীর বেশিরভাগ সফল মানুষই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি। আজকাল অনেকেই স্মার্টফোন, পিসি বা অন্যান্য গ্যাজেটকে কাজে লাগিয়ে ফ্রি-ল্যান্সিং করে সেল্ফ ফান্ডেড বা স্কলারশিপ নিয়ে নিজ খরচে বিদেশে পড়তে যাচ্ছে। আবার অনেকে দেশে বড় বড় আইটি ফার্মের উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হচ্ছে। বিল গেটসের একটা কথা এখানে কোট করি- “If you are born poor its not your mistake, but if you die poor its your mistake.“
৬) যদি সবকিছু নিজের প্ল্যানমত না হয় সেক্ষেত্রে “Why Me?” বলে ডিপ্রেশনে চলে গেলে চলবে না। সময়ের সাথে সাথে জীবনে আরও অনেক কঠিক পরীক্ষার মোকাবেলা করতে হবে। জীবনের এই স্টেজে এসেই গিভ-আপ করে দিলে সামনের সোনালি দিনগুলোর দেখা কখনোই মিলবে না। জীবনে যত কঠিন পরীক্ষার মুখেই ফেলুক না কেন, এটাকে মোকাবেলা করে “Move-on” করার মত পজিটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
৭) SSC/HSC এর একাডেমিক রেজাল্ট খারাপ হলে সেটা নিয়ে মন খারাপ না করে সামনে কিভাবে ভাল করা যায় সেদিকে ফোকাস করা উচিত। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই রেজাল্টগুলো পরবর্তীতে প্রফেসনাল সিভিতে জায়গাই পাবে না আর মাস্টার্স বা পিএইচডি’র এডমিশনে তেমন কোন রোল প্লে করবে না। তাই পরের পরীক্ষাগুলোতে কিভাবে আরও ভাল করা যায় সেদিকে সর্বোচ্চ ইফোর্ট দেয়া উচিত। যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার ইচ্ছা সেটা নিয়ে রিসার্চ করে, মেন্টরদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে, বাবা-মাকে কনভিন্স করে তারপর সেই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া উচিত। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবা-মা’র পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তি হলে থ্রি-ইডিয়েটস মুভির মত থার্ড বা ফোর্থ ইয়ারে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। লিউনেল মেসি বা সাকিব-আল-হাসান যদি সমাজের মন রক্ষার্থে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যেত তাহলে তারা “The Lionel Messi” বা “The Shakib-Al-Hasan” হতে পারতেন না। তাই নিজের স্ট্রেনথ খুজেঁ বের করতে সর্বোচ্চ মনোযোগী হওয়া উচিত।
সামনের দিনগুলোর জন্য অনেক শুভকামনা।
Regulated Canadian Immigration Consultant (RCIC),
CEO, Chowdhury Immigration & Visa Services Inc.
Lecturer, Canadian Immigration Law
Academy of Learning College.